Publish: Thursday, 8 August, 2024, 1:02 PM
ওপার বাংলা ডেস্ক:ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাম নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে দক্ষিণ কলকাতায় নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
তিনি দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় (সিওপিডি) ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে শেষ কয়েক বছর কার্যত গৃহবন্দিই ছিলেন। আগেও একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব।
সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তার সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সকালের খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এরপর সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে মারা যান তিনি।
২০২৩ সালের ৯ আগস্ট হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। সে বছর ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সে সময় বেশ কয়েক দিন তাঁকে ভেন্টিলেশন (ইনভেনসিভ) সাপোর্টে রেখেছিলেন চিকিৎসকেরা।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সে সময়ও কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাকে। সেখান থেকে বিপদমুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন।
২০২১ সালের মে মাসের মাঝামাঝি কোভিডে আক্রান্ত হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৮ মে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। একই সময় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়মীরাকে। দু’জনেই কোভিড নেগেটিভ হয়ে ফেরেন কিছু দিনের মধ্যে।
২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি বুদ্ধদেব সংবাদের শিরোনামে আসেন পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর নাম মনোনীত করলেও, তিনি এই সম্মান নিতে অস্বীকার করেন।
এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//