রকমারী ডেস্ক:বিয়ে নিয়ে শখ বা সামাজিক বিভিন্ন রীতি রয়েছে। সমাজে যৌতুকবিরোধী বিয়ের জন্য নানা আয়োজনের গল্পও শোনা যায়। তবে এবার সামনে এসেছে নতুন গল্প। বিয়েতে বর নেই, তাই এই গণআয়োজনে নিজেদের গলায় মালা পরাচ্ছেন কনেরা। রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ভিডিওতে দেখা যায়- সারি দিয়ে দাঁড়িয়েছেন কনেরা। প্রত্যেকের মাথায় ঘোমটা ও পরনে রয়েছে গাঢ় কমলা রঙের শাড়ি। জমকালো আয়োজনের চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। তবে বর না থাকায় শেষ পর্যন্ত কনেরা নিজেরা নিজেদের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন। গণবিয়ের ওই আয়োজনে বর ছাড়াই শেষ পর্যন্ত বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, অদ্ভুত এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায়। সমাজ উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে মানিয়ার ইন্টারকলেজ চত্বরে গত ২৫ জানুয়ারি এ গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি। তবে বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি টাকা পাওয়ার লোভে এ ভুয়া বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আসলে কারও বিয়ে হয়নি। নারীরা এ আয়োজনে ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং নিজেরা নিজেদের গলায় মালা পরিয়েছেন। সেখানে নারীদের ভিড়ে অনেক পুরুষ ছিলেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
বরের দেখা নেই, নিজেদের গলায় মালা পরাচ্ছেন কনেরা!
শিক্ষা সফরে শিক্ষার্থী-শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই গণবিয়ের আয়োজনে ৫৬৮ যুগলের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে এ আয়োজনে প্রতি যুগলের জন্য ৫১ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। বিয়ে করলেই এ টাকা পাওয়া যাবে বলেও জানানো হয়েছিল। যেখানে ৩৫ হাজার টাকা কনের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা ছিল। এ ছাড়া ১০ হাজার টাকার উপহারও পাবেন বর-কনে মিলে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি টাকা ও উপহারের বরাদ্দ হাত করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছিল।
তদন্তের পর এ ঘটনায় আট নারীসহ অ্যাডিশনাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার সুনীর কুমার যাদবের বিরুদ্ধে মানিয়ার থানায় এফআইআর করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//